চাঁদের গাড়ির চাপায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিহত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চাঁদের গাড়ি বলে পরিচিত স্থানীয় যানের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার চৌমুহনী বাজারের উত্তরে সরকারি খাদ্যগুদামের কাছে ওছখালী-জাহাজমারা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মাসুদুল হক (৫৫)। তিনি চৌমুহনী তবারকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। এ দুর্ঘটনায় ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমানও (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিহত ও শিক্ষক আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ মাদ্রাসার ছাত্র ও স্থানীয় জনতা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সকাল সাড়ে নয়টা থেকেই ওছখালী-জাহাজমারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। খবর পেয়ে হাতিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আজিজুর রহমানকে নিয়ে মাসুদুল হক মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। চৌমুহনী বাজারের উত্তর দিকে সরকারি খাদ্যগুদাম এলাকা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি চাঁদের গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাসুদুল হক। আজিজুর রহমান গুরুতর আহত হন।

বেলা পৌনে ১১টায় ঘটনাস্থলে থাকা হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীবাহী চাঁদের গাড়ির চাপায় এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক। ঘটনার পর উত্তেজিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় লোকজন গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। তিনি ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজনকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।