তিতাসের এমডিসহ ৮ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মীর মশিউর রহমানসহ আট কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের তলব করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিটার টেম্পারিং ও মিটার বাইপাস করে গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তিতাসের এমডি মীর মশিউর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এস এম আবদুল ওয়াদুদ ও ব্যবস্থাপক ছাব্বের আহমেদ চৈাধুরীকে ১ অক্টোবর দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

২ অক্টোবর তলব করা হয়েছে তিতাসের নারায়ণগঞ্জ শাখার মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান, টিঅ্যান্ডটি শাখার (গাজীপুর) ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক মো. আখেরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস শাখার ব্যবস্থাপক শাহজাদা ফরাজী ও সহকারী কর্মকর্তা আবু ছিদ্দিক তায়ানী।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর সই করা চিঠি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হযেছে। চিঠিতে ওই সব কর্মকর্তাকে নির্দিষ্ট তারিখে দুদকে হাজির করার ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় তিতাসে ‘কেজি মেপে’ ঘুষ লেনদেন শীর্ষক একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, তিতাসের গাজীপুর, সাভার, ভালুকা ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ঘুষ খাওয়ার জন্য তিতাসের কর্মকর্তারা একে অপরের সঙ্গে সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করেছেন। নিজেরা ঘুষ খাওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ এনে দিতে মাঝখানে একটি দালাল শ্রেণিও তৈরি করেছেন তাঁরা। দালালেরা ঘুষের টাকা সরাসরি পৌঁছে দিয়েছেন তিতাসের বড় কর্মকর্তাদের কাছে।

দুদক সূত্র জানায়, এই ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে দুদক ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল থেকে একটি অনুসন্ধান শুরু করে। সেই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তিতাসের এসব কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে।