গণশৌচাগার খুঁজে দেবে অ্যাপ

গণশৌচাগার খুঁজে পেতে মুঠোফোননির্ভর অ্যাপ চালু করেছে বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পাবলিক টয়লেট বাংলাদেশ’ নামের অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অ্যাপটি ব্যবহার করে রাজধানীসহ সারা দেশের মহাসড়কের পাশে থাকা গণশৌচাগারের খোঁজ পাওয়া যাবে।

গুগল প্লে-স্টোর গিয়ে অ্যাপটি মুঠোফোনে ইনস্টল করা যাবে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীরাও দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই অ্যাপের বাইরে থাকা গণশৌচাগারের নাম যুক্ত করতে পারবেন। অ্যাপের মাধ্যমে পার্ক, খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম, বাস টার্মিনালের গণশৌচাগারগুলো খোলা-বন্ধের সময় জানা যাবে। শৌচাগার ব্যবহার করতে ফি দিতে হবে কি না, এসব তথ্যও জানা যাবে অ্যাপটি ব্যবহার করে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ খান অ্যাপটির উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অ্যাপে ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি ১ হাজার ২০০টি গণশৌচাগারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে যেসব গণশৌচাগার আছে, সেগুলোর নাম অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে ব্যবহারকারীকে অ্যাপে লগইন করে নাম নিবন্ধন করতে হবে। দিতে হবে নাম ও মুঠোফোন নম্বর। তবে গণশৌচাগার ব্যবহারের জন্য নাম নিবন্ধন করতে হবে না।

ওয়াটার এইডের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজধানীতে ইতিমধ্যে ওয়াটার এইডের উদ্যোগে ২৫টি গণশৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায়ও গণশৌচাগার নির্মাণের কাজ চলছে।

অনুষ্ঠানে জাফর আহমেদ খান বলেন, গণশৌচাগারের মতো নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে দুই সিটি করপোরেশন ছাড়াও ঢাকা ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ করা উচিত।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ বলেন, গণশৌচাগার খুঁজে পেতে এ ধরনের অ্যাপের দরকার ছিল। কারণ, মহাসড়কের আশপাশে গণশৌচাগার খুঁজতে হলে বহু মানুষকে জিজ্ঞেস করতে হয়। এরপরও অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। এই অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের ভোগান্তি কমবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে তেঁতুলিয়া, টেকনাফ, মোংলা বন্দর ও সিলেটের জাফলং পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে রেস্তোরাঁসহ যত গণশৌচাগার আছে, সেগুলোর তথ্য জিপিএস ম্যাপের মাধ্যমে অ্যাপটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশের যেকোনো প্রান্তে আধা কিলোমিটারের মধ্যে গণশৌচাগার খুঁজে পাওয়া যাবে।