নেত্রীর কাছে প্রত্যেক মনোনয়ন-প্রত্যাশীর আমলনামা আছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

কুমিল্লার দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জে এক পথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের কাছে যিনি গ্রহণযোগ্য, তিনিই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। নেত্রীর কাছে প্রত্যেক মনোনয়ন–প্রত্যাশীর আমলনামা, জরিপ ও এসিআর আছে। যিনি সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন, তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ঘরের বিবাদের কথা পরকে বলবেন না। আমাদের শত্রু আমরা নিজেরা না। বিএনপি-জামায়াতই আমাদের শত্রু। আওয়ামী লীগের নামে যাঁরা অপকর্ম করেছেন, চাঁদাবাজি করেছেন, তাঁদের দলে ঠাঁই নেই। আসল কর্মীরাই দলের মধ্যে টিকে থাকবেন। ঘরের মধ্যে ঘর দেখতে চাই না। পকেট কমিটি করবেন না। সুবিধাবাদীদের দলে আনবেন না।’

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৪ সালের মতো আগুন–সন্ত্রাস বোমাবাজি ও পেট্রলবোমা দিয়ে বাসে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটালে দলীয় নেতা–কর্মীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। গত ১০ বছরে ২০টি ঈদ গেলেও তারা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কুমিল্লায় উত্তর জেলার সাত উপজেলা নিয়ে প্রশাসনিক জেলা করা হবে।

পথসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আওয়াল সরকার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রমুখ।

ইলিয়টগঞ্জে রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ পথসভা হয়। পথসভা শুরু হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে বসা নিয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছুক্ষণ পর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। এরপর বিকেলে চৌদ্দগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন ওবায়দুল কাদের ও কেন্দ্রীয় নেতারা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলা সফরের অংশ হিসেবে আজ কুমিল্লা থেকে ওবায়দুল কাদের কক্সবাজারে উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। আজ তিনি কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বক্তব্য দেবেন। আগামীকাল লোহাগড়া ও কক্সবাজারে পথসভার মধ্য দিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি শেষ হবে।