বাবা-মাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন

পঞ্চগড়ে বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মঞ্জুরুল হাসান শান্তকে (৩২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান এই রায় দেন। এ সময় আসামি মঞ্জুরুল হাসান শান্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ শে মার্চ দুপুরে পঞ্চগড় শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুরুল হাসান শান্ত তাঁর বাবা পঞ্চগড় সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান (৬৫) ও মা সুলতানা বেগমকে (৫৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। 

ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর থানার পেছনে হওয়ায় হত্যার সময় বাবা-মায়ের চিৎকারে পঞ্চগড় থানার এসআই আরিফ, এএসআই এনামুল হক, থানার গাড়ি চালক মাহাবুবের স্ত্রী নাছিমা এগিয়ে ওই বাড়িতে গেলে শান্ত তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করেন। পরে থানা থেকে আরও পুলিশ গিয়ে শান্তকে আটক করে। পুলিশ ও এলাকাবাসী শান্তর বাবা-মাসহ আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করে।
পরে ওই দিনই শান্তর বড় ভাই আক্তারুজ্জামান সাগর বাদী হয়ে শান্তকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রঞ্জু আহাম্মেদ ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে আসামি শান্তর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আইনি প্রক্রিয়া ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনাকারী পঞ্চগড় জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডে আসামির মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম। কিন্তু আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।’