মাদক সেবনের দায়ে প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের ক্রু গ্রাউন্ডেড

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত শুক্রবার লন্ডন যাওয়ার ফ্লাইটের আগে ডোপ টেস্টে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু মাসুদা মুফতির মাদক গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ জন্য তাঁকে ওই দিন লন্ডনগামী ওই ফ্লাইট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর রোববার তাঁকে গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে।

এদিকে ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সোমবার বিমানের ফ্লাইট সার্ভিসের উপমহাব্যবস্থাপক নুরুজ্জামান রঞ্জুকে গ্রাউন্ডেড (দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি) করা হয়।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের প্রমাণ মেলায় মাসুদা মুফতিকে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডনগামী ফ্লাইট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নুরুজ্জামান রঞ্জু এই তথ্য ফ্লাইট সিডিউল বিভাগকে জানাননি। আর তথ্য না জানায় ফ্লাইট সার্ভিস থেকে পরদিন সিঙ্গাপুর রুটেও মাসুদাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানের নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে প্রমাণ মিললে কোনো ব্যক্তিকে পরবর্তী ৯০ দিন কোনো ফ্লাইটে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। তাই দায়িত্বে অবহেলা ও মাসুদা মুফতির মাদক গ্রহণের তথ্য গোপন করায় নুরুজ্জামান রঞ্জুকে গ্রাউন্ডেড করা হয়।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ প্রথম আলোকে বলেন, ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) করা প্রতিটি ফ্লাইটের আগে বাধ্যতামূলক। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের দিনও নিয়ম মেনে ডোপ টেস্ট করা হয়। ডোপ টেস্টে মাসুদা মুফতির মাদক সেবনের বিষয়টি ধরা পড়ে। কিন্তু মাসুদা মুফতির মাদক গ্রহণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাননি নুরুজ্জামান রঞ্জু। বিষয়টি গোপন রাখায় তাঁদের দুজনকেই গ্রাউন্ডেড করা হয়। ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত চলছে। নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস তাঁরা গ্রাউন্ডেড থাকবেন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।