চিকিৎসাসেবা নিয়ে খালেদার রিটের শুনানি অক্টোবরে

কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন ওপর অক্টোবরে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হতে যাচ্ছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রিটের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন। নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি করার কথা জানিয়ে এ দিন আদালত বলেছেন, আজ নয় (শুনানি)।

ইউনাইটেড হাসপাতাল বা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া রিট আবেদনটি করেন, যা আজ শুনানির জন্য তালিকায় ছিল।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

বিশ্বজিৎ দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আদালত রুল দেওয়ার কথা বলেন। তখন আইনজীবীরা নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান। একপর্যায়ে আদালত বলেন, এখন অবকাশকালীন বেঞ্চ ও আদালতের কর্মঘণ্টা কম। বিস্তারিত শুনতে গেলে তালিকায় থাকা অন্য বিষয়গুলো শোনা হবে না, নট টুডে (আজ নয়), রাখলাম। আজকের পর আর অবকাশকালীন বেঞ্চ নেই। অবকাশ শেষে ১ অক্টোবর থেকে নিয়মিত বেঞ্চ বসবে।

তবে খালেদার আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালত রিটের ওপর শুনানি গ্রহণ করেছেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১ অক্টোবর নিয়মিত বেঞ্চে রিটটি শুনানি করার কথা বলেছেন। আশা করি, ১ অক্টোবর শুনানি হবে।’

আইনজীবী সূত্র বলেছে, রিটে ইউনাইটেড বা বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠনের আরজি রয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর চিকিৎসাসেবা-সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। খালেদার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, এ মর্মে রুল রুলও চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজি (প্রিজন), ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বিচারিক আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন। এরপর থেকে ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন।