নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে মডেল: স্পিকার

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রথম আলো ফাইল ছবি।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রথম আলো ফাইল ছবি।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। গতকাল শুক্রবার বেলজিয়ামের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ-এর প্রেসিডেন্ট শিকফ্রেড ব্রেকের সঙ্গে সাক্ষাতে স্পিকার এ কথা বলেন।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। স্পিকার বর্তমানে দশম এশিয়া-ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপ মিটিংয়ে (আসেপ-১০) যোগদান উপলক্ষে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে রয়েছেন।

শিকফ্রেড ব্রেকের সঙ্গে সাক্ষাতে স্পিকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও বিরোধী দলের নেতা—সকলেই নারী। জাতীয় সংসদে মোট ৭৩ জন নারীর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশে এখন শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্পসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আসেপ-১০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ: চ্যালেঞ্জ ফর মাল্টিল্যাটারালিজম’ শীর্ষক অধিবেশনে শিরীন শারমিন বক্তব্য দেন। ওই অধিবেশনে তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়া-ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপ (আসেপ) একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট। এই জোটভুক্ত দেশের সংসদগুলো নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করলে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব।

স্পিকার আরও বলেন, এই জোটে এশিয়া ও ইউরোপের সংসদ সদস্যরা জলবায়ুর পরিবর্তনের জটিল ও বিরূপ প্রভাবসমূহ তুলে ধরতে পারেন এবং সমষ্টিগতভাবে তা প্রতিকারের উপায় খুঁজে বের করতে পারেন। দেশগুলো সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে পারে।

জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা খুবই কঠিন কাজ বলে উল্লেখ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ সমস্যার প্রভাব পড়ছে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায়। কৃষি, ভূমি, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ সম্পর্কিত সমস্যা কোনো আঞ্চলিক বিষয় নয়। তাই ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐকমত্যের বিকল্প নেই।