রাস্তায় ফেলে যাওয়া সেই মাকে হাসপাতালে ভর্তি

নড়াইলের লোহাগড়ায় রাস্তায় ফেলে যাওয়া মা ফুজলী বেগমকে (৮৬) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দুপুরে হাসপাতালে এই মাকে দেখতে যান নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন। এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে ফুজলী বেগমের খোঁজখবর নিয়েছেন। ওই মায়ের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। হাসপাতালে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলবে। সব সময় পুলিশের কয়েকজন নারী সদস্য তাঁর পাশে থাকবেন। তাঁকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এরপর বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে।

গত বুধবার রাতে ওই বৃদ্ধাকে তাঁর সন্তানেরা রাস্তায় ফেলে যান  । ওই বৃদ্ধার মেয়ে কুলসুম ৪ শতাংশ জমি লিখে নেন তাঁর কাছ থেকে। সেই জমি বিক্রিও করেছেন কুলসুম। এতে ক্ষিপ্ত হন ওই নারীর অন্য ছেলেমেয়েরা। ৩০ বছর আগে ওই নারীর স্বামী মারা যান। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। মেজ ছেলে রাবু শেখ মৌসুমি ফসলের ব্যবসায়ী। অন্য সন্তানেরা হতদরিদ্র। বাড়ি উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের কুচিয়াবাড়ি গ্রামে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ ওই নারীর দুই ছেলে ও মেয়ে কুলসুমকে আটক করে। লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, মেজ ছেলে রাবু শেখকে আটকের চেষ্টা চলছে। আটক অন্য সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাইমিন জিসান বলেন, এই বৃদ্ধা মূলত বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। সর্বক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকায় তাঁর পিঠে ঘা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁর অন্য সমস্যা দেখা যায়নি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা তাঁকে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, সুচিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহায়তা তাঁকে দেওয়া হবে।