আ.লীগ এগিয়ে, বিপাকে বিএনপি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও বিএনপি দুই প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছে। উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। কাল বৃহস্পতিবার এখানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
জানা গেছে, এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তাইফুল ইসলাম তালুকদার। আর বিএনপির দুই প্রার্থী হলেন উপজেলা বিএনপির একাংশের সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম চৌধুরী এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান। বিএনপির সমর্থক ও ভোটাররা জানান, উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সাংসদ মোজাহার আলী। তাঁর সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন খালেদুল মাসুদ। তিনি নিজেকে দলীয় প্রার্থী বলে দাবি করছেন। অপরদিকে অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা। তাঁর সমর্থনে নিজেকে দলীয় প্রার্থী দাবি করছেন রওনকুল ইসলাম চৌধুরী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, সাবেক দুই সাংসদ ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তাঁদের দীর্ঘদিনের বিরোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন। তাঁরা একত্র হয়ে একজন প্রার্থীকে সমর্থন দিলে ২৭ ফেব্রুয়ারি নিশ্চিত বিএনপি বিজয়ী হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী যে বিজয়ী হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। জেলা থেকে মোজাহার গ্রুপ ও মোস্তফা গ্রুপ দুই প্রার্থী দেওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। কিছু নেতা-কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
মোজাহার আলীর পক্ষের উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ক্ষেতলাল পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নান মোল্লা জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯-দলীয় জোটের কর্মিসভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে খালেদুল মাসুদকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের প্রার্থীই বিএনপির প্রার্থী।
সাবেক সাংসদ বিএনপির নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জেলার নেতাদের নিয়ে আমরা দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা করেও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারিনি। তাই কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি যাকে সমর্থন দেব তিনি বিএনপির একক প্রার্থী। তাই রওনকুল ইসলামই বিএনপির সমর্থিত একক প্রার্থী।’
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।