শহিদুলকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুবিধা দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ফাইল ছবি
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ফাইল ছবি

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুবিধা দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যর আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তাঁর স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সেদিন আদালত রুলসহ ওই নির্দেশ দেন।

এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে।

এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনটি করেছিল, যা গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদনটি চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। এর ধারাবাহিকতায় আজ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

অন্যদিকে, শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন, শরীফ ভুঁইয়া, জ্যোতিময় বড়ুয়া ও তানিম হোসেইন। আদালত থেকে বেরিয়ে সারা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দিতে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে, হাইকোর্টের ওই আদেশ বহাল থাকল।

আইনজীবী সূত্র বলছে, এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম কারাবিধি অনুযায়ী শহিদুল আলমকে কারাগারে ডিভিশন দিতে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে তা অনুমোদনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠায়। তবে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন না পৌঁছানোয় দীর্ঘসূত্রতা ও শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর রিটটি করা হয়।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ৫ আগস্ট রাতে শহিদুল আলমকে তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয় ডিবি। ৭ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।