সোনা আত্মসাতের দায়ে ৩ পুলিশসহ ৪ জনের দণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

১৭ কেজি সোনা আত্মসাৎ করার দায়ে ঢাকার রামপুরা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজনকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান খান এই রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন রামপুরা থানার তৎকালীন এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, কনস্টেবল আকাশ চৌধুরী ও ওয়াহিদুল ইসলাম। তাঁদের ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মঞ্জুরুল ছাড়া সবাই পলাতক। পুলিশের সোর্স মাহফুজ আলম রনিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ৪ বছর আগে প্রধান আসামি মঞ্জুরুলসহ অন্যরা রামপুরা থানায় কর্মরত ছিলেন। আসামিরা ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ রাতে একটি মাইক্রোবাসে করে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পুলিশের গাড়ির উপস্থিতি টের পেয়ে আরেকটি প্রাইভেট কার সন্দেহজনকভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে রামপুরার বনশ্রী এলাকায় গাড়িটি রেখে পালিয়ে যান অজ্ঞাত আরোহীরা। আসামি এসআই মঞ্জুরুলসহ অন্যরা গাড়িটি তল্লাশি করে ১৪৯টি সোনার বার পান। পরে তাঁরা গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিলেও সোনা পাওয়ার কথা কাউকে বলেননি। বরং গাড়ি থেকে পাওয়া স্বর্ণগুলো নিজেরা ভাগ করে নেন। গাড়িতে সোনা রেখে পালিয়ে যাওয়া সাইফুল আরেফিন নামের এক ব্যক্তি তখন রামপুরা থানা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।

পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই বছরের ৭ এপ্রিল এসআই মঞ্জুরুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুদকের তদন্তে স্বর্ণ আত্মসাতের বিষয়টি সত্য বলে প্রমাণিত হয়। মঞ্জুরুলের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫৮টি সোনার বার পাওয়া যায়। বাসার ফ্রিজের ভেতর সেগুলো লুকিয়ে রাখা ছিল। পুলিশ কনস্টেবল ওয়াহিদুল ৬৩টি সোনার বার বাড়ির মেঝেতে পুঁতে রাখেন। সেগুলোও উদ্ধার করা হয়।

আত্মসাৎ করা স্বর্ণের বারগুলোর তখনকার বাজারমূল্য ছিল ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন রুহুল ইসলাম খান। আর আসামিপক্ষে ছিলেন জগন্নাথ সাহা।