শিশু অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে: কাজী রিয়াজুল

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক শিশু সনদ স্বাক্ষরকারী প্রথম ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের উদ্দেশ্য হলো শিশু সনদের অপশনাল প্রটোকল-৩ রেটিফাই করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করা। শিশু অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ অনেক বেশি এগিয়ে আছে।’ আজ রোববার রাজধানীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা পরিস্থিতি, অপশনাল প্রটোকল-৩ অনুস্বাক্ষরের গুরুত্ব’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম ও ইউএনডিপি- হিউম্যান রাইটস।

আলোচনায় কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতিসংঘের ইউপিআর কমিটির সুপারিশের আলোকে অপশনাল প্রটোকল-৩ রেটিফাই করতে সম্মত হয়েছে। রেটিফাই করার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা কীভাবে মোকাবিলা করতে পারি, এ বিষয়ে সরকারকে ধারণা দিতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট চিঠি দেব সরকারকে। ইউএন সিআরসি কমিটি একসময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এ দেশে শিশু অধিকারবিষয়ক কোনো কমিটি নেই। পরবর্তী সময়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন শিশু অধিকারবিষয়ক কমিটি গঠন করে। কমিশন এ কমিটিকে নাগরিক সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে শক্তিশালী করেছে।’

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুস শহীদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়াতে কোনো দেশ এখনো অপশনাল প্রটোকল-৩ রেটিফাই করেনি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যদি কোনো ভীতি কাজ করে থাকে, তা অমূলক। এ ক্ষেত্রে সবারই সরকারকে বারবার তাগিদ দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমরা আশা করি সরকারের কাছে কমিশন জোরালোভাবে বিষয়টি তুলে ধরবে।’

গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিশু সনদের প্রথম দুটি অপশনাল প্রটোকল রেটিফাই করেছে বাংলাদেশ। ৩ নম্বর প্রটোকল ২০১৩ সালে গৃহীত হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪১টি দেশ প্রটোকলটি রেটিফাই করেছে। বাংলাদেশে যদি কোনো শিশুর অধিকার লঙ্ঘিত হয়, দেশীয় সব প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পরও কোনো প্রতিকার না পেলে সে জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটিতে যেতে পারবে তার অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাটি নিয়ে। অভিযোগ উত্থাপনের পর শিশুকে একটি সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আনার বিষয়টি প্রটোকলে রয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতার বিষয়টিও রয়েছে। এটি শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, রাষ্ট্র পর্যায়েও কাজ করবে।’