যাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন এই রায় ঘোষণা করেন।

এ রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুকে। এ ছাড়া আরও ১৭ জনকে একই সাজা দিয়েছেন আদালত। এই ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে আছেন, বাকি দুজন পলাতক।

কারাগারে থাকা ১৭ জন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।

আর পলাতক দুজন হলেন আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই ও জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন এবং হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২২ জন মারা যান। আহত হন কয়েক শ নেতা-কর্মী। ওই দিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান, তবে তাঁর কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।