বগুড়ায় চলন্ত বাসে পেট্রলবোমায় ৩ নারী দগ্ধ, আটক ১

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় পুলিশের কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে যাত্রীবাহী একটি চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসের সামনের আসনে থাকা তিন নারী যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। পুলিশ ধাওয়া করে হামলাকারী একজনকে আটক করেছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় নীলফামারী থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহন নামের দূরপাল্লার বাসে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ তিন যাত্রী হলেন নীলফামারীর জয়তুণ্ডীপুঠিহারি গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা (৫৫), একই জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মতিয়া বেগম (৪০) ও টাঙ্গাইলের শান্তিনগর গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে শামীমা বেগম (২৭)। আহত তিনজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তির নাম নূর মাহমুদ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ ঢাকায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কায় সকাল থেকে বগুড়াজুড়ে পুলিশ কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। অথচ রায় ঘোষণার আধা ঘণ্টার মধ্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বোমা ছুড়ে মারার ঘটনাটি ঘটে। নীলফামারী থেকে বাসটি ঢাকায় যাচ্ছিল। বাসটি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রাধারঘাট এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মোটরসাইকেল থেকে বাসের ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। এতে বাসের সামনের আসনে থাকা তিন নারী যাত্রী দগ্ধ হন। ঘটনার পর শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুম্মনের নেতৃত্বে টহল পুলিশের একটি দল ধাওয়া করে হামলাকারীদের একজনকে আটক করে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।