চার বাংলাদেশি নিহত, আহত ২৬

নিহত আবদুল হান্নান
নিহত আবদুল হান্নান

বাহরাইনের রাজধানী মানামায় মঙ্গলবার ভবনধসে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৬ বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পরানপুর গ্রামের আবদুল হান্নান, হাজীগঞ্জ উপজেলার জাকির, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জয়নাল। নিহত অন্যজন আলো মিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বাহরাইনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আহত দুই ব্যক্তিকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ১৩ জন ভর্তি আছেন সাধারণ বিভাগে। অন্য আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মানামার আল মির্জা সড়কের পাশে নেস্ট সুপার মার্কেট-সংলগ্ন তিনতলাবিশিষ্ট ওই ভবনধসের ঘটনা ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত ওই ভবনটি বেশ পুরোনো। এতে অর্ধশত প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করতেন। যাঁদের অধিকাংশই বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা।

ধসে পড়া ভবন
ধসে পড়া ভবন

দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালায় বাহরাইনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা শেষে হতাহত ব্যক্তিদের বাহরাইনের কেন্দ্রীয় হাসপাতাল সালমানিয়ায় পাঠানো হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমান, শ্রমসচিব শেখ তাওহীদুল ইসলাম, জনকল্যাণ প্রতিনিধি তাজউদ্দিন, দূতাবাসের কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী খলিফা বিন সালমান আল খলিফা দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।