তারেক রহমানকে ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করা উচিত আমাদের: সজীব ওয়াজেদ

সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদ জয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর মতে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির ব্যবস্থা করা উচিত সরকারের।

বুধবার রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের উচিত এখনই তারেক রহমানের নামে আবার নতুন করে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা, এবার খুন ও সন্ত্রাসবাদের জন্য। তাকে ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করাও উচিত আমাদের।’

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১৮ আসামি পলাতক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারে ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের শাস্তি দিতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে, বিচারে লেগেছে ৪২ বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হামলায় আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার পেতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে, লেগেছে ৩৪ বছর। আজ ১৪ বছর পরে, আমার মা ও আইভি রহমানসহ আমার আরও অনেক কাছের মানুষদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার পেতে যাচ্ছি আমরা।’

ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের কোনো বহিঃসমর্পণ চুক্তি নেই। কিন্তু জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী অন্য কোনো সদস্য দেশের অনুরোধে শাস্তিপ্রাপ্ত আসামিদের সমর্পণ করতে পারে। যুক্তরাজ্য সম্প্রতি চারজন সন্দেহভাজন আইএস সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে জেনেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট চালানো গ্রেনেড হামলা মামলায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে।