ইউলুপের নিচে গাড়ি ধোয়ার জায়গা

রামপুরা সেতু–সংলগ্ন ইউলুপের নিচে গাড়ি ধোয়ার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে।  ছবি: প্রথম আলো
রামপুরা সেতু–সংলগ্ন ইউলুপের নিচে গাড়ি ধোয়ার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্পের সাউথ ইউলুপের (রামপুরা সেতু–সংলগ্ন) নিচে গাড়ি ধোয়ার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। রাজউকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ কাজ তারা করছে না। হাতিরঝিল প্রকল্প যাদের দায়িত্বে, তারাই এটা করছে।

হাতিরঝিলের সঙ্গে বনশ্রী এলাকার সংযোগ করেছে ‘সাউথ ইউলুপ’। এই ইউলুপ চালু হয় ২০১৭ সালের জুনে। গতকাল বুধবার গিয়ে দেখা যায়, রামপুরা টেলিভিশন ভবনের বিপরীতে ইউলুপের নিচে দুটি কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশে গাড়ি ধোয়ার জায়গা তৈরি হচ্ছে। সেখানে শ্রমিকেরা লোহার পাত ঝালাইয়ের কাজ করছেন। আর উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে কাচঘেরা ঘর তৈরি হয়েছে।

এখানে কথা হয় বিনয় রায় নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি নির্মাণকাজের তদারক করছিলেন। বিনয় বলেন, এখানে গাড়ি ধোয়ার জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। এর বেশি কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হয়ে এ কাজ করছেন, তা–ও বলেননি।

কারা এই জায়গার ইজারা দিয়েছেন বা কারা ইজারা পেয়েছেন, জানতে চাইলে হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্পের পরিচালক (রাজউক) জামাল আক্তার ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, রাজউক এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না। হাতিরঝিল প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গাড়ি ধোয়ার জন্য এই ইজারা দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্পের কর্মকর্তা মেজর সাদিক শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ইউলুপের নিচে গাড়ির ধোয়ার জায়গা তৈরি হচ্ছে। গাড়ি ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা এখানে থাকবে। জায়গাটি রাজউক থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। যারা ইজারা নিয়েছে, তারাই এই গাড়ি ধোয়ার জায়গা তৈরি করছে। তবে কে ইজারা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

এটি হাতিরঝিলের মূল পরিকল্পনা ও নকশায় ছিল কি না, জানতে চাইলে মেজর সাদিক শাহরিয়ার বলেন, ‘হাতিরঝিল একটি চলমান উন্নয়ন প্রকল্প। প্রতিনিয়ত এ প্রকল্পে স্থাপনা যুক্ত হতে পারে, বাদও হতে পারে।’ এই স্থাপনা ইউলুপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলেও তিনি মনে করেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর হাতিরঝিল বেগুনবাড়ি প্রকল্পের নকশাবহির্ভূত সব স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ইউলুপের নিচে স্থাপনা নির্মাণ মূল পরিকল্পনায় না থাকলে আদালতের রায় অনুযায়ী তা অবৈধ হবে।