বাংলাদেশের নিপীড়িত সাংবাদিকদের পক্ষে যুক্তরাজ্য

অ্যালেস্টেয়ার বার্ট
অ্যালেস্টেয়ার বার্ট

যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী অ্যালেস্টেয়ার বার্ট বলেছেন, বাংলাদেশে নিপীড়িত সাংবাদিকদের পক্ষে যুক্তরাজ্যের অবস্থান। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের পাশাপাশি সাংবাদিক নিপীড়ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ প্যানেল আলোচনায় বিষয়টি তিনি দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছেন বলেও জানান।

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিয়মিত অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বন্দিত্ব নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অ্যালেস্টেয়ার বার্ট এসব কথা জানান।

সংসদ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তরবিষয়ক আলোচনায় শহিদুল আলমের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড একটন আসনের এমপি রূপা হক। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার দলীয় এই এমপি প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বাক্স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি হলো আমাদের বৈদেশিক সহায়তা প্রদানের পূর্বশর্ত। সেই মোতাবেক বাংলাদেশ সহায়তা পেয়ে আসছে। তাহলে কি করে দেশটি প্রথিতযশা আলোকচিত্র সাংবাদিক শহিদুল আলমকে জেলবন্দী এবং নির্যাতন করতে সক্ষম হলো-যিনি ওই সব মূল্যবোধ প্রচারের অগ্রপথিক হিসেবে গণ্য। আমরা তাঁর মুক্তির জন্য কি করছি?’

রূপা হকের ওই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী অ্যালেস্টেয়ার বার্ট বলেন,  সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনি ও অন্যান্যের নেতৃত্বে নিপীড়িত সাংবাদিকদের উৎসর্গ করে বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশের নিপীড়িত সাংবাদিকদের পক্ষে যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শহিদুল আলমের বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মনোভাব জানানো হয়েছে এবং এটি অব্যহত থাকবে। ওই বিশেষ সেশনে উপস্থিত শহিদুল আলমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।

এদিকে শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে গত সোমবার থেকে যুক্তরাজ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সোমবার ব্রিটিশ জার্নাল অব ফটোগ্রাফির খবরে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, গ্যালারি ও জাদুঘরসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে শহিদুল আলমের আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এসবের মধ্য দিয়ে শহিদুল আলমের সংগ্রাম ও তাঁর মুক্তির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।