'বিশেষ নিয়োগ' চান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’নামের সংগঠনের কর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’নামের সংগঠনের কর্মীরা। ছবি: প্রথম আলো

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা বহালের দাবিতে প্রতীকী অনশন পালন করেছেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামের সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির ক্ষেত্রে ‘বিশেষ নিয়োগের’ দাবি করেন।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করা হয়েছে।

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা আন্দোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। কয়েক দিন আন্দোলন করার পর এটি স্থগিত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। আমরা চাই এই আন্দোলন বেগবান হোক। আমাদের আন্দোলন চলবে।’

বেলা ১১টার আগেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা প্রেসক্লাবের মূল গেটের পশ্চিম পাশের ফুটপাতে ও সড়কে অবস্থান নেন। হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানের মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক। দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই নিয়েছেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান জাতির পিতা দিয়েছেন, তা যেন তাঁরই কন্যার হাত দিয়ে ব্যাহত না হয়।

দুপুর ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা প্রতীকী অনশন ভাঙেন এবং নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচিগুলো হলো: ২৪ অক্টোবর মুখে কালো কাপড় বেঁধে সারা দেশের জেলা শহরগুলোতে প্রতিবাদ এবং ১৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেওয়া।