পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ডিজিটাল ডিভাইসে, ছয়জন গ্রেপ্তার

>
  • গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়
  • ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে
  • গত শনিবার প্রশাসন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে
  • এক আসামি পরীক্ষার আগে ডিজিটাল ডিভাইসে প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, একজন আসামি পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অপর একজনকে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করে। এর আগে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে সিআইডি। তাঁরা হলেন জাহিদুল ইসলাম, মো. ইনসান আলী ওরফে রকি, মো. মোস্তাকিম হোসেন, মো. সাদমান সালিদ, মো. তানভির আহমেদ ও মো. আবু তালেব। তাঁদের মধ্যে ইনসান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থী, আর জাহিদুল ইসলাম তাঁর বাবা। অন্যরা বগুড়ার দুটি ভর্তি তথ্যদানকারী কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ইনসান আলী নামের এক পরীক্ষার্থীকে আটক করে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর ফেসবুক মেসেঞ্জারে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটের প্রশ্নটি পাওয়া যায়। পরীক্ষার্থীর বাবা জাহিদুল ইসলাম তাঁকে হাতে লেখা ৭২টি প্রশ্ন ও উত্তর পাঠিয়েছিলেন। পরে জাহিদুল ইসলামকেও আটক করে সিআইডি। দুজনের কথার সূত্র ধরে বাকি চারজনকে আটক করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে বগুড়ার রাহেমা অ্যাডমিশন ইনফরমেশন সেন্টারের সাব্বির হোসেন ওরফে রানা এবং গুগল অ্যাডমিশন ইনফরমেশন সেন্টারের লাহাদুজ্জামান ওরফে লিমনসহ বিভিন্ন ‘ভর্তি পরীক্ষার কম্পিউটার সেন্টারের’ মালিক ও কর্মী জড়িত।

এজাহারে আরও বলা হয়, জাহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, সাব্বির হোসেন ও লিমন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ইনসানকে দেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে এ ঘটনায় সহ–উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এটি প্রশ্ন ফাঁস না ডিজিটাল জালিয়াতি, সেটা তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।