প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ পৌঁছেছেন

সৌদি আরবের বাদশাহের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে চারদিনের সফরে মঙ্গলবার রিয়াদ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
সৌদি আরবের বাদশাহের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে চারদিনের সফরে মঙ্গলবার রিয়াদ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের বাদশাহ এবং দু’টি পবিত্র মসজিদের খাদেম সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে চারদিনের সফরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিয়াদ পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।

সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মশিহ, রিয়াদের গভর্নর এবং দূতাবাস কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

রিয়াদে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বুধবার তাঁর স্যুটে কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বার (সিএসসি) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনা সৌদি রাজপ্রাসাদে বাদশাহর সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাৎ শেষে বাদশাহের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে তিনি সৌদি রাজধানী রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিমানযোগে পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশে রিয়াদ ত্যাগ করবেন এবং মসজিদে নববিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করবেন।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা পৌঁছাবেন এবং সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। শেখ হাসিনা এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।

দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে ২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এগুলো হলো: প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং আইসিটি খাতে সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি বাদশাহর মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিষয়গুলো ছাড়াও শ্রমিককল্যাণ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য ও সমৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়েও আলোচনা হবে।