চ্যারিটেবলের রায় আগে লেখা হয়েছে: নজরুল

নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি
নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ২৯ তারিখ কেন? তাঁরা চাইলে কালকেও রায় দিতে পারেন। কারণ রায় তো আগেই লেখা হয়ে গেছে।’

আজ বুধবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নজরুল ইসলাম খান এ মন্তব্য করেন। ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এম এ হাদীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা যারা লুট করেছে, তাদের কি বিচার হয়েছে? তাদের দ্রুত বিচার করায় সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ। এই রায় ২৯ অক্টোবর দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি অসুস্থ। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ চাইলেও সেটি দেওয়া হয়নি।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা চলতে পারে না। এমন একটা বাংলাদেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। পাঁচ কোটি টাকার মালিক এখন পাঁচ হাজার কোটি টাকার মালিক। আর ৫০০ টাকার মালিক এখন গরিব। এই চরম বৈষম্যের দেশ আমরা চাইনি। এর পরিবর্তনের পথ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণরায়। এ জন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।’

ইভিএমের বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতে একটি ইভিএম কিনতে বাংলাদেশের টাকায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। আমাদের দেশে বুয়েট ইভিএম মেশিন তৈরি করেছে। এর দাম ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। আর এই ইভিএম মেশিন আমাদের সরকার বিদেশ থেকে কিনছে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকায়। অর্থাৎ ১১ গুণ বেশি দামে। এখন তো লুটপাট ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। সরকারকে এর সন্তোষজনক জবাব দেওয়া উচিত।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড্যাব নেতা এম এ কুদ্দুস, আবদুল মান্নান মিয়া প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।