ড. কামাল স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে বেইমানি করেছেন: হাছান

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, ড. কামাল হোসেন স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার সঙ্গে বেইমানি করেছেন।

আজ বুধবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনি (ড. কামাল হোসেন) কথায় কথায় বলেন আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলাম। কিন্তু যারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে যুক্ত, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিল এবং যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল, যুদ্ধাপরাধী জঙ্গি—তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে আপনি স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে বেইমানি করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার সঙ্গে বেইমানি করে খন্দকার মোস্তাকের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।’

সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় ঐক্য জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি ও ধোঁকা ছাড়া অন্য কিছু না। তিনি বলেন, কানা ছেলের নাম যেমন পদ্মলোচন রাখা হাস্যকর, ঠিক তেমনি তাঁদের জাতীয় ঐক্যের নামও সে রকম। এখন ২০-দলীয় জোট থেকে দুই দল বের হয়ে গেছে। অর্থাৎ তাঁরা নিজেদের জোটই ঠিক রাখতে পারছেন না। নাম দিয়েছেন জাতীয় ঐক্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা যেমন ভাড়ায় খেলেন, তেমনিভাবে ড. কামাল হোসেনও রাজনীতির মাঠে এখন ভাড়ায় খেলছেন। মির্জা ফখরুল, মওদুদ আহমদসহ বিএনপির বর্তমান নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত সুচতুরভাবে ড. কামাল হোসেনকে জোটের নেতা বানিয়ে জোটের নেতৃত্বের পদ থেকে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে মাইনাস করে দিয়েছেন।’

ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আপনি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বলেন, সুশাসনের কথা বলেন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যে জোটে আপনি ভাড়ায় গেলেন, যে জোটের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন, তারা কারা? তারা হচ্ছে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী, তারা জনগণের ওপর পেট্রলবোমা হামলাকারী, তারা যুদ্ধাপরাধী, ৭১-এ আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠনকারী। আপনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন করে বলেছিলেন, এই হামলার সঙ্গে বিএনপি যুক্ত। আজকে আপনি সেই গ্রেনেড হামলাকারী শাস্তিপ্রাপ্তদের নেতৃত্ব গ্রহণ করছেন।’

এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের শান্তি, স্থিতি, অগ্রগতি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সমাবেশের নামে যদি বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালানো হয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করতে হবে।

ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।