গণআদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন যুবক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এক যুবক। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারিক হাকিম (তৃতীয় আদালত) জাহিদুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।

ওই যুবকের নাম আবু সাঈদ (২৮)। সাঈদ কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার আবদুস সাদিরের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. রানা নামে আরেক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রানা আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আবু সাঈদ আদালতের কাছে গণধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে আখাউড়া পৌর এলাকার রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গল থেকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা আঙ্গুরি বেগমের (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আঙ্গুরি আখাউড়া উপজেলার টানপাড়া এলাকার আবদুর রহিমের স্ত্রী। আবদুর রহিম এলাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। আখাউড়া রেলস্টেশন এলাকায় প্রায় ঘোরাফেরা করতেন আঙ্গুরি। স্থানীয় মানুষের কাছে আঙ্গুরি ‘বেবি পাগলি’ নামে পরিচিত ছিলেন। আবু সাঈদ, রানাসহ পাঁচ যুবক ‘বেবি পাগলিকে’ রেলস্টেশন এলাকা থেকে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।

ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার প্রথম আলোকে বলেন, আবু সাঈদকে গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।