সীমানাপ্রাচীর ছিদ্র করে ট্রেনের তেল চুরি!

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টা। খুলনা রেলস্টেশনে তখনো অনেক মানুষের আনাগোনা। ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও। এরই মধ্যে স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থাকা ট্রেনে তেল সরবরাহের পাইপের সঙ্গে অন্য পাইপ জুড়ে দিয়ে চুরি করা হচ্ছিল তেল। আর সেই তেল নেওয়া হচ্ছিল ওই স্টেশনের প্রায় ২০০ মিটার দূরে সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা মেসার্স তিন্নি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি তেল বিক্রির দোকানে। তেলের পাইপ নিতে ছিদ্র করা হয়েছে সীমানা প্রাচীরও।

বিষয়টি জানতে পেরে র‍্যাব-৬–এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ওই তেল চুরির সময় দুজনকে হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় তিন্নি এন্টারপ্রাইজ থেকে জব্দ করা ১৭টি ড্রাম। আটক হওয়া দুজন হলেন ৫ নম্বর ঘাট এলাকার সজল হাওলাদার (২২) ও মো. মালেক (২৭)। তাঁদের বিরুদ্ধে র‍্যাব বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় মামলা করেছে। অভিযানের সময় তিন্নি এন্টারপ্রাইজের মালিক পালিয়ে যান।

ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‍্যাব-৬–এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রেলের তেল চুরি করা হয়, এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য ছিল র‍্যাবের কাছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে গত দুই মাস পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।

এ ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষও জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে র‍্যাব। অভিযানের সময় ও পরে খুলনা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।