লোকটির গলা কাটল মা-মেয়ে?

চট্টগ্রামের রাউজানে গলাকাটা অবস্থায় চিকিৎসাধীন এক প্রবাসী মারা গেছেন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তির সাবেক স্ত্রী-শাশুড়ি সন্ত্রাসীদের নিয়ে তাঁর গলা কেটেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) তাঁর মৃত্যু হয়।

ওই ব্যক্তির নাম ফখরুল ইসলাম (২৮)। তিনি ওমান প্রবাসী ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাউজানের পৌর এলাকার গহিরা এলাকার একটি বাসায় গলাকাটার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, রাউজান পৌর এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে উম্মে হাবিবা (১৮) নামের ওই নারীর তিন মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর পৌর এলাকার গহিরা এলাকায় চার তলার একটি ভবনের ৩য় তলায় মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন হাবিবা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ওই ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন দেখতে পায়। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ফ্ল্যাটের কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে হাবিবার মায়ের হাত অগ্নিদগ্ধ হয়। কিন্তু আগুন নেভানোর সময়ও চিৎকার আসতে থাকে। পরে স্থানীয়রা ছাদে গিয়ে ফখরুলকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার পরপর পুলিশ হাবিবা ও তাঁর মাকে আটক করে।

হাবিবা ও তাঁর মায়ের ভাষ্য, নিহত ফখরুল তাদের বাসায় আগুন দিয়েছিল। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে ফখরুলের ভাই নুরুল ইসলাম থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেছেন।

বাদী নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও ফখরুলের পাসপোর্টটি হাবিবা আটকে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে হাবিবা ও তাঁর মা তাঁদের বাসায় ডেকে নিয়ে যান। পরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁর গলা কেটে কেটে দেয়।

রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বশির উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ফখরুল বিদেশ চলে যাওয়ার পর হাবিবা তাঁকে তালাক দেন। তিন মাস আগে ফখরুল দেশে এসে শালিশের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। তবে দেন মোহরের টাকা দিতে পারেনি ফখরুল।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়াত উল্লাহ বলেন, গলা কাটা অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফখরুল মারা গেছেন। গ্রেপ্তার হাবিবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় তাঁর মাকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।