প্রসূতি মায়েদের ছুটি ও প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা

কোনো নারী শ্রমিক প্রতিষ্ঠানের মালিককে নোটিশ দেওয়ার আগেই যদি সন্তান প্রসব করে থাকেন, তবে সন্তান প্রসবের প্রমাণ পেশ করার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সম্পূর্ণ সময়ের জন্য প্রদেয় প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা দিতে হবে। এই বিধান রেখে আজ রোববার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল ২০১৮ উত্থাপিত হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বিলটি উত্থাপন করেন। উত্থাপনের পর যাচাই-বাছাই করে এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

আইনের ৪৭ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, শ্রমিককে প্রসব–পরবর্তী আট সপ্তাহ পর্যন্ত কাজে অনুপস্থিত থাকার অনুমিত দিতে হবে। এই বিধানে আরও বলা হয়েছে, প্রসূতিকল্যাণ ছুটিতে যাওয়ার আগে কোনো নারী শ্রমিকের গর্ভপাত ঘটলে তিনি প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা পাবেন না। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে ছুটির প্রয়োজন হলে তিনি তা ভোগ করতে পারবেন।

আইনের ১০৩ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, শ্রমিক প্রতি সপ্তাহে কারখানা ও শিল্পের ক্ষেত্রে এক দিন এবং দোকান ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেড় দিন ছুটি পাবেন। ১১৮ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিককে কোনো উৎসব বা ছুটির দিনে কাজ করতে বলা যাবে। তবে এ জন্য তাকে এক দিনের বিকল্প ছুটি ও দুই দিনের ক্ষতিপূরণমূলক মজুরি দিতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কর্মস্থলে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে, পেশাগত স্বাস্থ্য, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া সহজ করা, শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষা করা এবং জাতীয় উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য এই বিল আনা হয়েছে।

এ ছাড়া রোববার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বিল ২০১৮, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বিল ২০১৮ ও মৎস্য সঙ্গনিরোধ বিল ২০১৮ ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল ২০১৮ সংসদে উত্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল ২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে।