ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের দুই নেতাকে ছাত্রলীগের মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের চার নেতা৷ পরে চিকিৎসার জন্য তাঁদের মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মগবাজার, ঢাকা, ২৩ অক্টোবর। ছবি: দীপু মালাকার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের চার নেতা৷ পরে চিকিৎসার জন্য তাঁদের মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মগবাজার, ঢাকা, ২৩ অক্টোবর। ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুই নেতা৷ আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের যাত্রী ছাউনির কাছে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে তাঁদের মারধর করা হয় ৷

মারধরের শিকার দুজনই সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। একজনের নাম আতাউল্লাহ ও অন্যজন রাতুল সরকার ৷

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, 'কর্মসূচি শেষে আমরা চলে আসছিলাম ৷ আমরা চারজন মিলন চত্বরের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি, আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, রাতুল সরকার ও তুহিন ফারাবী৷ ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে আতাউল্লাহ'র ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের চার-পাঁচজন৷ আমাদের আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রাতুল সরকারকেও তারা মারধর করে৷ তবে আতাউল্লাহকে বেশি মারধর করা হয়েছে৷ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তারা মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছে৷'

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের ভাষ্য থেকে তিন হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে ৷ ছাত্রলীগের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলী রিমন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সোলাইমান হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাকিউর রাফিদ নাফি৷ এদের মধ্যে আলী রিমন ও জাকিউর রাফিদ নাফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী৷

সনজিত চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, 'আজকে আমাদের প্রোগ্রাম ছিল৷ তারা কখন মারধর করল! আমি এখনো এ বিষয়ে কিছু জানি না৷ খোঁজ নিচ্ছি৷'

মারধরের বিষয়ে হাসান আল মামুন বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের মতো একটা যৌক্তিক ইস্যুতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা মারধরের শিকার হলাম ৷ জানি না, ছাত্রলীগ এ ধরনের আচরণের মাধ্যমে কী বোঝাতে চায় ৷ তারা হয়তো প্রশাসনকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করতে চায়৷'