জামায়াত নেতাদের ভোটে যেতে নিষেধাজ্ঞা দাবি

জামায়াতে ইসলামীর কোনো সদস্য এবং যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরি কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

আজ মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা মনে করে, বিদ্যমান আইনেই এটি করা সম্ভব।

তবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বৈঠকে বলেছেন, জামায়াতের সদস্য বা যুদ্ধাপরাধীদের স্বতন্ত্র নির্বাচন থেকে বিরত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আইন নেই। বিদ্যমান আইনে তা করা সম্ভব কি না, কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বসে পর্যালোচনা করে ইসি জানাবে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইসিতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন স্থগিত আছে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল দলীয় প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে পারে। জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারবে না।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একটি প্রতিনিধিদল আজ আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্বাচনের প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধে ইসিকে কঠোর হওয়া, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না করার দাবি জানায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সেই সঙ্গে সংগঠনটি প্রার্থীর কাছ থেকে অঙ্গীকারনামায় সই নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। প্রার্থী এই মর্মে অঙ্গীকার করবেন যে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, স্বাধীনতাবিরোধী নন, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বা নির্বাচনের অযোগ্য কোনো দলের সদস্য নন বা সম্পৃক্ত নন। এ ছাড়া ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির দাবি, নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক সব দলকে ঘোষণা করতে হবে যে তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদের বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনসহ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।