আ. লীগ দুটি 'ব্যবসা' ভালো পারে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের লোকজন দুটি ব্যবসা ভালো পারে। একটি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা, আরেকটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ব্যবসা। এই দুটিকে বিক্রি করে তারা তাদের রাজনীতিকে ধরে রেখেছে। এটা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। আসলে তারাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আসল শত্রু।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ''শুভ বিজয়ার'' শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ বাতিল, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও ইভিএম মেশিন ব্যবহার বন্ধসহ সাত দফা দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি আদায় না হলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করে নেবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের প্রত্যয়। আমি শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি অনুরোধ করব, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কাছে চলে যান।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, এই ''দানব'' সরকারকে সরাতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আঘাত করতে হবে। আজকে আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি, এটা কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়, এটা দেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য।

ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতারা হিন্দু, বৌদ্ধদের জমি দখল করছেন। তাঁর এলাকার সাংসদ মনোরঞ্জন শীল ৭০০ হিন্দু পরিবারের জমি এবং সাংসদ দবিরুল ইসলাম ১ হাজার ৩০০ একর জমি দখল করেছেন।

সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গ এনে ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ভোট দিয়ে দেয়, মানুষ ভোট দিতে পারছে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।

ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। এ জন্য তারা ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। ইভিএম ব্যবহার করা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএপির মহাসচিব ফখরুল।

বিএনপির পল্লি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।