আজকের শিশুরাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ২৬ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ২৬ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেছেন যে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং আমি আশা করি তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্ট জাতির পিতার ৯৬, ৯৭ ও ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

ট্রাস্টের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে এবং আগামী প্রজন্ম যাতে দেশের সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সে জন্য আমরা শিক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব শিশু তাদের শিক্ষা অব্যাহত রাখুক। আর তাই আমরা প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছি এবং তাদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছি।’ তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার উন্নয়নে দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করছি।’

চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ২৬ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি
চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন, ঢাকা, ২৬ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ছয় বছরের শরণার্থী জীবনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় তিনি এবং তাঁর বোনকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যখন আমরা দেশে আসলাম, তখন আমাদের ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২–এর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা ধানমন্ডির বাড়িকে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে পরিণত করেছেন এবং জাতির পিতার নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই ফান্ড থেকে ১৭ শ দরিদ্র অথচ মেধাবী শিশুকে বৃত্তি দিচ্ছি এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের সহায়তা দিচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শিশুদের গান ও চিত্রাঙ্কনের মতো খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিচ্ছে, যাতে তাদের মেধা ও চিন্তাচেতনা সঠিকভাবে বিকশিত হয়।

বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী শতাব্দীতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধ ও সুন্দর জীবন উপহার দিতে আমরা বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। ঢাকা, ২৬ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। ঢাকা, ২৬ অক্টোবর। ছবি: পিআইডি

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান, স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্টের সদস্যসচিব শেখ হাফিজুর রহমান। স্মৃতি ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।