বুয়েটে ভর্তির টাকাই নেই তুহিনের

>

• বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ।
• চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে পারবেন।
• শেষ পর্যন্ত ভর্তির টাকাই জোগাড় করতে পারছেন না তুহিন

বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন তুহিন মাহমুদ। চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে পারবেন। বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত ভর্তির টাকাই জোগাড় করতে পারছেন না তুহিন। তাঁর বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী। মা কষ্টেসৃষ্টে সংসার চালান। কিন্তু ছেলেকে ঢাকায় পড়ানোর সামর্থ্য নেই তাঁর।

তুহিন মাহমুদ
তুহিন মাহমুদ

তুহিনদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম গ্রামে। এবার বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় তুহিন ৬৪৫ তম স্থান অধিকার করেছেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তাঁর অবস্থান ৩৮৩।

গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে গিয়ে তুহিনের বাবা আলম হোসেনকে পাওয়া গেল। মা লতিফা বেগম বললেন, তাঁর স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী। এখন অবস্থা খুব খারাপ। তাঁদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে। মেয়েটাই বড়। তাঁর বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলের মধ্যে তুহিন বড়। তুহিন বরাবরই পড়াশোনায় ভালো। কখনো প্রাইভেট বা কোচিং করাতে হয়নি। এলাকার শিক্ষকেরাই বিনা পয়সায় ছেলেকে পড়িয়েছেন। কেউ টাকা নেননি। তুহিনের পড়ার ঘরে কোনো টেবিল নেই। বাঁশের খুঁটির ওপর একটি তক্তা দিয়ে তার ওপর বই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তুহিন এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তুহিন মাহমুদ জানান, এসএসসির পর রাজশাহীতে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু শহরে পড়তে যেতে পারেননি। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন।

মনিগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মনোয়ার হোসেন বলেন, ছেলেটি খুবই মেধাবী। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘স্কলার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে’র একটি বৃত্তি পরীক্ষায় ২০০ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর মধ্যে সে প্রথম হয়েছিল।

যারা তুহিনকে সহায়তা করতে চান তাঁরা ০১৭৪৪৪৮৪০০৫ (তুহিনের ফোন নম্বর) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।