টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

নিহত মো. হোসেন ওরফে কামাল।
নিহত মো. হোসেন ওরফে কামাল।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোররাত চারটার দিকে সাবরাং কাটাবনিয়ার সমুদ্রসৈকতের ঝাউবাগান এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।

নিহত দুজন হলেন হাসান আলী (৩৫) ও মো. হোসেন ওরফে কামাল (২৮)। হাসান টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়ার মো. হাশিমের ছেলে। কামাল সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার নুরুল আলমের ছেলে।

গুলিবিদ্ধ তিনজন পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিন্টুন চন্দ্র ভৌমিক, উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমদ গাজী ও কনস্টেবল ইব্রাহিম খলিল।

পুলিশের ভাষ্য, নিহত দুই ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইয়াবা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয়টি দেশীয় অস্ত্র (এলজি), ২৫টি গুলি ও ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, আজ ভোররাতে উপজেলার সাবরাং কাটাবনিয়া এলাকা দিয়ে ইয়াবা বড়ি খালাসকে কেন্দ্র করে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ছিনতাইকারীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় যায়। ওই সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। ওই দুজনসহ গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন লাশ দুটি হাসান ও কামালের বলে শনাক্ত করেন।

নিহত হাসান আলী।
নিহত হাসান আলী।

ওসি জানান, গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে হাসান ও কামালের মৃত্যু হয়। তাঁদের দুজনের দেহে তিনটি করে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।