গৃহকর্মীকে পেটাতেন 'মানবাধিকারকর্মী'

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার গৃহকর্মীর কাজ করতে এসেছিল ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরী। কিন্তু মেয়েটিকে পেটাতেন ও ছেঁকা দিতেন বাড়ির গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রী। শরিফ নামে ওই গৃহকর্তা ‘মানবাধিকারকর্মী’ হিসেবে পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে আজ বুধবার ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার গৃহকর্মীর কাজ করতে এসেছিল ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরী। কিন্তু মেয়েটিকে পেটাতেন ও ছেঁকা দিতেন বাড়ির গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রী। শরিফ নামে ওই গৃহকর্তা ‘মানবাধিকারকর্মী’ হিসেবে পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে আজ বুধবার ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার গৃহকর্মীর কাজ করতে এসেছিল ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। কিন্তু কাজ করতে এসে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি। ওই কিশোরী যার বাসায় কাজ করত, তিনি একজন মানবাধিকারকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে আজ বুধবার ওই বাসা থেকে উদ্ধার করেছে খিলগাঁও থানা-পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত বলেন, চার মাস আগে কিশোরগঞ্জ থেকে আসা মেয়েটি তার মামাতো বোনের মাধ্যমে দক্ষিণ বনশ্রী ১১ নম্বর সড়কের ৪৩ নম্বর বাড়ির ছয়তলায় শরিফ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ শুরু করে। সেখানে কাজ না পারাসহ বিভিন্ন অজুহাতে মেয়েটিকে লোহার খুনতি দিয়ে পেটানো ও ছেঁকা দিয়ে নির্যাতন করতেন শরিফ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাইমা।

পুলিশ বলছে, নির্যাতনের খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। মেয়েটির দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে। পায়ের পাতা ফোলা। পুরো পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা শরিফ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাইমাকে আটক করা হয়েছে। শরিফ চৌধুরী নিজেকে মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।