ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ছাত্রকে জখম!

উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় পটুয়াখালীর বাউফলে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এক ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক বলছেন, বহিরাগত কয়েকজন তরুণ বিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রীদের উদ্দেশে বাজে মন্তব্য করছিল। আহত শিক্ষার্থী তাতে বাধা দিলে তাকে জখম করা হয়।

আজ বুধবার উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম আল আমিন (১৫)। সে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত তরুণদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন মো. কাওছার (১৮) ও মো. শাহিন (১৯)। তবে অভিযুক্ত তরুণদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কাওছার, শাহিনসহ আরও চার থেকে পাঁচ বহিরাগত ওই বিদ্যালয়ে ঢুকে কয়েক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। এতে আল আমিন বাধা দেয় ও তাঁদের চলে যেতে বলে। কিন্তু অভিযুক্ত তরুণেরা বিষয়টি আমলে না নিলে আল আমিন তা প্রধান শিক্ষককে জানায়। পরে প্রধান শিক্ষক ওই তরুণদের শাসিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হন। কিছুক্ষণ পর শ্রেণিকক্ষে ঢুকে আল আমিনকে কুপিয়ে জখম করেন তাঁরা।

আহত আল আমিন ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের দায়ের আঘাতে তার মাথা কেটে গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আল আমিনের মা সিতারা বেগম বাউফল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।’ বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’