শোকরানা মাহফিল: যান চলাচলে কিছু নির্দেশনা

আগামী ৪ নভেম্বর রোববার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ থেকে যান চলাচলে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানস্থল এবং এর আশপাশের এলাকা দিয়ে ভারী অথবা হালকা যানবাহনসহ আসা-যাওয়া এড়াতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই দিন জেএসসি পরীক্ষা থাকার কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাছাকাছি কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে রওনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ১০.০০ টায় ‘শোকরানা মাহফিল’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা শহরসহ সমগ্র বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসার কয়েক লাখ লোক বাস, ট্রেন, লঞ্চযোগে ওই দিন ভোর হতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হবেন। সে ক্ষেত্রে সর্বসাধারণকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানস্থল এবং এর আশে-পাশের এলাকা দিয়ে ভারী অথবা হালকা যানবাহনসহ গমনাগমন পরিহার করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো। ওই দিন জেএসসি পরীক্ষা রয়েছে বিধায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিকটবর্তী কেন্দ্রসমূহের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

যেভাবে যান চলাচল করবে :

গাবতলী, মিরপুর রোড হয়ে আসা ব্যক্তিবর্গ সায়েন্স ল্যাবরেটরি-নিউমার্কেট হয়ে নীলক্ষেতে নেমে হেঁটে টিএসসি হয়ে বিভিন্ন গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করতে হবে। তাদের বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর এবং নীলক্ষেত হতে পলাশী পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে এক লাইনে পার্কিং করতে হবে।

উত্তরা হতে এয়ারপোর্ট রোড হয়ে মহাখালী- মগবাজার- কাকরাইল চার্চ- রাজমণি ক্রসিং- নাইটিঙ্গেল- পল্টন মোড়- জিরো পয়েন্ট অথবা খিলক্ষেত ফ্লাইওভার- বাড্ডা- গুলশান- রামপুরা রোড- মৌচাক ফ্লাইওভার-মালিবাগ- শান্তিনগর- রাজমণি ক্রসিং- নাইটিঙ্গেল হয়ে পল্টন মোড় অখবা জিরোপয়েন্ট হয়ে আসা ব্যক্তিবর্গ পল্টন মোড় অথবা জিরো পয়েন্টে নেমে হেঁটে দোয়েল চত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যেতে হবে। তাদের বাসগুলো মতিঝিল এলাকায় পার্কিং করাতে হবে। উত্তরা অথবা এয়ারপোর্ট থেকে আসা গাড়িগুলো পার্কিং স্থান মতিঝিল অথবা গুলিস্থানে সংকুলান না হলে প্রয়োজনে হাতিরঝিল এলাকায় পার্কিং করাতে হবে।

চট্টগ্রাম, সিলেট থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে পোস্তগোলা হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে আসা লোকজনকে গুলিস্থানে নেমে হেঁটে জিরো পয়েন্ট-দোয়েল চত্বর হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে হবে। তাদের বাসগুলো মতিঝিল অথবা গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করাতে হবে। যারা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর ওপর দিয়ে চানখাঁরপুল হয়ে আসবেন তারা চানখাঁরপুল নেমে হেঁটে দোয়েল চত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের বাসগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে পার্কিং করাতে হবে।

বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে আসা লোকজনকে গোলাপশাহ্ মাজারে নেমে হেঁটে হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে। তাদের বাসগুলোকে গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করাতে হবে।

শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন পর্যন্ত সড়ক সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রীসহ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের গমনাগমন উপলক্ষে ওই দিন ভোর হতে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠান স্থলের চারপাশের বিভিন্ন ইন্টারসেকশন যেমন-বাংলামোটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, শাহবাগ, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, বকশীবাজার, চানখাঁরপুল, গোলাপ শাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল চার্চ, অফিসার্স ক্লাব, মিন্টো রোড ক্রসিংগুলো থেকে গাড়ি ডাইভারশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। অনুষ্ঠান স্থলে আনা ব্যক্তিদের কোন প্রকার হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বা ধারালো কোন বস্তু বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।