গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে পালালেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা

শিবির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ডিসি রোড, চট্টগ্রাম, ৩ অক্টোবর। ছবি: জুয়েল শীল
শিবির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ডিসি রোড, চট্টগ্রাম, ৩ অক্টোবর। ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম নগরের চন্দনপুরায় ছাত্রশিবিরের কার্যালয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বোমা বিস্ফোরণের পর ভবন থেকে ছয়টি তাজা ককটেলসহ ককটেল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত প্রায় ১০০ পুলিশ ভবন ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। বিস্ফোরণ এবং পরে ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতির কারণে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়।

চন্দনপুরা মিয়ার বাপের বাড়ি–সংলগ্ন আল ইসরা নামের চারতলা ভবনটি ছাত্রশিবিরের উত্তর-দক্ষিণের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির নিচতলা খালি। দোতলায় এক পাশে মসজিদ, অপর দুটি তলায় শিবিরের কার্যালয় এবং সদস্যদের থাকার কক্ষ। পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণের পর ভবন থেকে ছয়টি ককটেল, দুই বোতল পেট্রল ও অকটেন, বোমা তৈরির কাচ, পাউডার, খালি কৌটা, শিবিরের চাঁদা তোলার রসিদ বইসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এলাকায় ব্লক রেইড (তল্লাশি) চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে শিবিরের কার্যালয়ের ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন আরও পুলিশ আনা হয়। বিস্ফোরক দলও ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে ছয়টি ককটেলসহ বোমা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণের পর পেছনের একটি গোপন সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে শিবিরের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।

পুলিশ সূত্র জানায়, বিস্ফোরণে তৃতীয় তলার কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেতরে বিস্ফোরণের আলামতও রয়েছে। ভবনটির ওপর পুলিশ নজর রাখছে। এই অভিযানে চকবাজার থানার পাশাপাশি কোতোয়ালি, সদরঘাট থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা অংশ নেন।