মানবতাবিরোধী অপরাধ: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় আটক, নির্যাতন, হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী। দুই আসামিই পলাতক।

মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। এরপর আজ রায় ঘোষণা করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরুর পর এটি হচ্ছে ৩৫তম মামলার রায়।

রায় ঘোষণার সময় রাষ্ট্রপক্ষে অন্যদের মধ্যে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, রেজিয়া সুলতানা ও তাপস কান্তি বল উপস্থিত ছিলেন। পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

রেজিয়া সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, দুই আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে হবিগঞ্জের লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানা এলাকায় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ আনা হয়। প্রতিটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে বলা হয়। অভিযোগ ও অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ওই মামলায় ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, একাত্তরে লিয়াকত আলী স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আর আমিনুল ছিলেন ওই এলাকার আলবদর বাহিনীর কমান্ডার।