সংলাপে বসতে গণভবনে দুই পক্ষের নেতারা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসতে গণভবনে পৌঁছে গেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় গণভবনে এই সংলাপ শুরু হওয়ার কথা।
সংলাপ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গণভবনে যেতে শুরু করেন। এর আগে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, সংলাপে সমঝোতা না হলে ৮ নভেম্বর ঢাকা থেকে রোডমার্চ করে ৯ নভেম্বর রাজশাহীতে জনসভা করবেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা এই ঘোষণা দেন।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবনে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা-কর্মীরাও একে একে গণভবনে ঢোকেন।
গণভবনে প্রবেশের আগে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে কোনো দাবি মানা হবে না।’
সংলাপে থাকছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম।
এর আগে ১ নভেম্বর প্রথম দফা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তিসহ সাত দফা দাবি নিয়ে ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে সংলাপ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। এরপর গতকাল ঢাকায় জনসভা করে ঐক্যফ্রন্ট।
সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণভবনে প্রথম দফা সংলাপে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের আর গ্রেপ্তার করা হবে না। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জনসভা চলাকালেও গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘সংলাপের নামে প্রহসন করবেন না। আমরা সমঝোতায় বিশ্বাস করি। আগামীকাল ছোট সংলাপে যাচ্ছি। কিন্তু নাটক করলে চলবে না। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সংসদ বাতিল করতে হবে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে সবার আগে মুক্তি দিতে হবে।’
বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সংঘাত বাঁচিয়ে সংলাপের পথ বেছে নিয়েছিলাম। সমঝোতা না হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, একদিকে সংলাপ, অন্যদিকে গণগ্রেপ্তার, নির্যাতন, আবার তফসিল ঘোষণা। এসব পরস্পরবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।