ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিল দুটি প্রাণের স্বপ্নসাধ

শরীয়তপুরে ট্রাকচাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: সত্যজিৎ ঘোষ
শরীয়তপুরে ট্রাকচাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: সত্যজিৎ ঘোষ

বিয়ে করেই তিনি চলে গিয়েছিলেন ইতালি। দুই বছর পর এসেছেন বউকে তুলে নেবেন বলে। কিন্তু ঘাতক ট্রাকের প্রাণসংহারী চাকায় পিষ্ট হলো সেই স্বপ্নসাধ।

এই হচ্ছে শরীয়তপুরের মিঠুন মণ্ডল (৩২) আর নন্দী রানীর (২৮) করুণ বিয়োগান্ত কাহিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কাশিপুর এলাকায় শরীয়তপুর-মাদারীপুর সড়কে একটি ট্রাক মিঠুন মণ্ডল ও নন্দী রানীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। পরে লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। সেখানে স্বজনেরা আহাজারি করছেন।

মিঠুনের বোন সুচিত্রা রানী জানান, দুদিন হলো দেশে ফিরেছেন মিঠুন। দুই বছর আগে মিঠুন ও নন্দীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইতালি চলে যান মিঠুন। এক মাসের ছুটিতে দেশে এসেছেন তিনি। স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। আজ শ্বশুরবাড়িতে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

ইতালিতে বউকে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে মিঠুনের দুই বছর লেগেছে। আগামী মাসেই বউকে নিয়ে ইতালিতে কর্মস্থলে ফিরতে চেয়েছিলেন মিঠুন। আজ বউকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায় যাচ্ছিলেন।

পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ট্রাক রেখে চালক পালিয়ে গেছেন। মিঠুনের বাড়ি সদর উপজেলার চর সোনামুখী গ্রামে। বাবার নাম বিশ্বনাথ মণ্ডল। তিনি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন।
প্রথম আলোর হিসাব অনুযায়ী, আজ শুক্রবার ৫ জনসহ ৬২৪ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৫১৯ জনে পৌঁছেছে।