যেখানে ইভিএম সেখানে সেনা রাখার পরিকল্পনা ইসির

আসন্ন সংসদ নির্বাচনের যেসব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে, সে সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনীকে রাখার পরিকল্পনা আছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। আজ শনিবার বিকেলে ইসিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

সচিব বলেন, ১২ নভেম্বর ইভিএম মেলা হবে। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোনো দল যদি ইভিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কারিগরি টিম পাঠাতে চায়, সে ক্ষেত্রে ইসি তা দেখাতে প্রস্তুত আছে।

হেলালুদ্দীন বলেন, ইসির পরিকল্পনা আছে, যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে সেখানে সেনাবাহিনী অবস্থান করবে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো আলোচনা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভোটের তারিখ পেছানোর সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত পেছানোর কোনো পরিকল্পনা নাই। সব দল একমত হলে তখন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

মোহাম্মদপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সচিব বলেন, ‘আমরা জানি না। আপনাদের কাছে শুনলাম। টেলিভিশনে দেখেছি।’ তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা এবং মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারে নামার সুযোগ নেই। এটা কেউ করে থাকলে সেটা হবে আচরণবিধির লঙ্ঘন।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নকে ঘিরে মিছিল এবং ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আচরণবিধির লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে ভোট মানে উৎসব। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে হচ্ছে। এতে আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না।’

সচিব আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আগেই অনুমোদন দিয়েছে। তবে এরপর এ ধরনের সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিন দিনের মধ্যে জোট গঠনের বিষয়ে সচিব বলেন, আরপিওতে এই বিধান আছে। এরপরও যদি দলগুলো সময় চায় সে ক্ষেত্রে ইসি তা বিবেচনা করবে। ইসি চাইলে সময় বাড়াতে পারে।