হত্যার অভিযোগ, ১৩ মাস পর লাশ উত্তোলন

পরিবার হত্যার অভিযোগে মামলা করায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় মৃত্যুর ১৩ মাস পর এক কিশোরের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ জামশেদুল আলম ও যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শফিউল্লাহ সবুজের উপস্থিতিতে গতকাল রোববার উপজেলার খালিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে ওই কিশোরের লাশ তোলা হয়। আজ সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. হারুন-অর রশিদ।

যে কিশোরের লাশ তোলা হয়েছে, তার নাম মামুন হোসেন (১৭)। সে উপজেলার খালিয়া গ্রামের এরফান আলী খাঁর ছেলে।

এরফান আলী খাঁর ভাষ্য, তাঁর ছেলে মামুন উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে মোটরসাইকেল গ্যারেজের ব্যবসা করত। গত বছরের ১৩ অক্টোবর সকালে সে নিখোঁজ হয়। পরদিন ১৪ অক্টোবর খালিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, জাকির হোসেনসহ কয়েকজন মিলে মামুনের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় তাঁরা জানান, উপজেলার ভানুর মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মামুন যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছে। মামুনের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা মামুনের লাশ দাফন করে ফেলেন।

এরফান আলী খাঁ বলেন, ‘পরে জানতে পারি, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে মামলা করায় আদালতের নির্দেশে গতকাল বিকেলে কবর থেকে মামুনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।’

পরিদর্শক মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, মামুনের বাবা এরফান আলী খাঁ যশোর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, জাকির হোসেন ও আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মনিরামপুর থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত হয়। পরে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত গত ১০ অক্টোবর মামুনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ জামশেদুল আলম ও চিকিৎসক শফিউল্লাহ সবুজের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। আজ লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।