খালেদার প্রার্থিতা বিষয়ে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার: ইসি রফিকুল ইসলাম

খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিজ কক্ষে রফিকুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রার্থী কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

৮ নভেম্বর ইসি একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে। যে কারণে খালেদা জিয়া আদৌ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ উচ্চ আদালত ইতিমধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। নিম্ন আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি কোনো আদালতে দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।

তবে আদালতের এমন রায়ের বিরুদ্ধে কেউ উচ্চ আদালতে আপিল করলে সেই ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, জমা হওয়া মনোনয়নপত্র বৈধ কি অবৈধ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার। রিটার্নিং কর্মকর্তা কারও মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে বাতিল করলে তার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ইসিতে আপিল করতে পারবেন। কমিশন সেই আবেদন বাতিল করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন, কমিশন সে অনুযায়ী কাজ করবে।