কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী বরখাস্ত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা হামলা করে জেএমবির সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই আনসার সদস্যকে অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রক্টরিয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ক্যাম্পাসের চারদিকে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উপাচার্য মোহিত উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিদের তত্পরতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও আনসার সদস্য বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
প্রক্টর মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার। বর্তমানে ক্যাম্পাসে আনসার সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। আনসার সদস্য আরও বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’ তিনি জানান, ঘটনার দিন দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী কাজলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুজন আনসার সদস্যকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও এখনো তাঁদের বদলি কার্যকর হয়নি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত প্লাটুন কমান্ডার খায়রুল ইসলাম জানান, ‘আমি বদলির অর্ডার পাইনি। শুনেছি তাঁদের বদলি করা হবে। নির্দেশ পেলে তাঁদের বদলি করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রেজুওয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে গত মঙ্গলবার রাতে র্যাবের একটি দল এসেছিল। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ক্যাম্পাসে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থাকলেও পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একজন ইনচার্জ, দুজন উপপরিদর্শক, দুজন সহকারী উপপরিদর্শক ও আটজন পুলিশ থাকার কথা, কিন্তু আছে মাত্র আটজন। তদন্ত কেন্দ্রের বাইরেও তাঁদের অতিরিক্ত থানার দায়িত্ব পালন করতে হয়।