যুক্তির লড়াইয়ে মাতল খুদে বিতার্কিকেরা

সিলেটে পুষ্টি-প্রথম আলো আঞ্চলিক বিতর্ক উৎসবে চ্যাম্পিয়ন দলের উল্লাস। গতকাল সিলেট নগরের বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে।  ছবি: প্রথম আলো
সিলেটে পুষ্টি-প্রথম আলো আঞ্চলিক বিতর্ক উৎসবে চ্যাম্পিয়ন দলের উল্লাস। গতকাল সিলেট নগরের বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে। ছবি: প্রথম আলো

বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘জনসচেতনতাই পারে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে’। সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বিতার্কিকেরা এর পক্ষে যুক্তি ও বক্তব্য উপস্থাপন করে। বিপক্ষে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের বক্তব্য ছিল, আইনের সঠিক প্রয়োগই পারে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে।

সিলেটে পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসবের চূড়ান্তপর্বের প্রতিযোগিতার দৃশ্য ছিল এটি। এভাবেই সিলেটে গতকাল সোমবার খুদে বিতার্কিকেরা দিনভর মেতেছিল যুক্তির লড়াইয়ে।

‘যোগ দাও যুক্তির মেলায়, কর যুক্তি দিয়ে বিশ্ব জয়’ স্লোগানকে সামনে রেখে সিলেট নগরের বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে সকাল পৌনে ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক। প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি বিভাগের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী মো. বায়েজীদ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য দেন পুষ্টির বিপণন ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

উদ্বোধনী পর্বে মো. ফয়জুল হক বলেন, বছরব্যাপী প্রথম আলো নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এসব কার্যক্রমের অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের নিয়ে। প্রথম আলো চায়, এ দেশের শিক্ষার্থীরা জ্ঞানবিজ্ঞানে এগিয়ে যাক। তাই জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলে হবে না। বিখ্যাত ব্যক্তিদের লেখা বই নিয়মিত পড়তে হবে।

উৎসবে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। চূড়ান্তপর্বে বিজয়ী হয় সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। রানার্সআপ হয় সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়। সেরা বিতার্কিক হয় সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া তাবাসসুম। উৎসবে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ছাড়াও ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন কবি তুষার কর, বাচিকশিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল, গল্পকার জামান মাহবুব, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঞা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ পাল, নাট্যসংগঠক জাফর সাদেক শাকিল, হুমায়ূন কবির জুয়েল, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্ত, আবৃত্তিকার নাজমা পারভীন ও শিক্ষক প্রণবকান্তি দেব।

সমাপনী পর্বে বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হকের হাতে ভেন্যু-স্মারক তুলে দেন প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি সুমনকুমার দাশ। এরপর বিজয়ী ও রানারআপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।