প্রথম দফায় রাখাইনে যাবে ৩০ রোহিঙ্গা পরিবার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাত লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ৩০টি পরিবারের দেড়শকে জনকে রাখাইনে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এদের মধ্যে ১১টি রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মঙ্গলবার প্রতিনিধিরা কথা বলে জেনেছেন, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরতে চান কী না। আজ বুধবার বাকী ১৯টি পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল কালাম মঙ্গলবার রাতে মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা আজ ১১ টি পরিবারের সাক্ষাতকার নিয়ে কি তথ্য পেয়েছেন সেটা এখনও জানায়নি। ধারণা করছি, অবশিষ্ট ১৯ পরিবারের সাক্ষাতকার নেওয়া শেষে এক সঙ্গে সবার ব্যাপারে তারা কি তথ্য পেয়েছে সেটি ইউএনএইচসিআর আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।’

পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি জানান, সড়ক পথে গুমদুম হয়ে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পাঠানোর সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রতিদিন দেড়শ করে রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিদিন যে দেড়শ’ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হবে সে অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত একটি তালিকা মিয়ানমার গত সোমবার বাংলাদেশকে দিয়েছে। ওই তালিকা ধরে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ফেরার বিষয়টি যাচাই শেষে তাদের রাখাইনে পাঠানোর প্রস্তুতির কাজ করছে বাংলাদেশ।