বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেখে ভারত আনন্দিত: শ্রিংলা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ছবি: বাসস
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ছবি: বাসস

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেখে ভারত আনন্দিত। তিনি বলেন, তাঁরা চান বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা সব সময় অব্যাহত থাকুক এবং নির্ধারিত সময়ে সবার অংশগ্রহণে ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হোক।

সচিবালয়ে আজ বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার সংবিধানসম্মতভাবে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক বিরাজ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণও স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অবদানকে সব সময় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তাঁদের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তালিকার শীর্ষে রেখেছে ভারত। ভারত মনে করে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
এ সময়ে মোহাম্মদ নাসিম জানান, ভারত সরকারের সহযোগিতায় যশোর, পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও জামালপুরে ছয়টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। দেশে নতুন ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার ক্ষেত্রে সে দেশের সরকারের সহযোগিতার কথা এ সময় স্মরণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু স্বাস্থ্য খাত নয়, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভারতের অবদান দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার সাম্প্রতিক মানোন্নয়নের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবছর ভারত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলো থেকে পাস করে দেশে ফিরে গিয়ে মানসম্মত সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে।

এ সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।