বিএনপির কার্যালয়ে ভিড় দেখে সরকার সহ্য করতে পারেনি: রিজভী

বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঢাকা, ১৪ নভেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঢাকা, ১৪ নভেম্বর। ছবি: আবদুস সালাম

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) দায়ী করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের সকল দুষ্কর্মের দায়িত্ব নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।’

আজ বুধবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর এই আক্রমণের জন্য দায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং ইসির সচিব। তাঁদের প্রত্যক্ষ ব্যবস্থাপনায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে তাঁরা আকস্মিক আক্রমণ চালিয়েছে পুলিশকে দিয়ে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই আজকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের রক্তাক্ত করার জন্য দায়ী।'

বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা ভেবেছি, সরকার ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন না করে হয়তো শান্তিতে মানুষকে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের সুযোগ দেবে। কিন্তু গত দুই দিনে বিএনপির কার্যালয়ে ভিড় দেখে সরকার সহ্য করতে পারেনি। এই কারণে আজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। তবে এই ভিড় ছিল শান্তি, স্বস্তির ও সুশৃঙ্খল।’ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারও মাথায়, কারও পায়ে, কারও কোমরে ও কারও পেটে গুলি লেগেছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

গাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হেলমেটধারী, আজকেও দেখবেন হেলমেটধারীদের তৎপরতা। এরা কারা? এরাই হচ্ছে, এজেন্ট। এই এজেন্টদের দিয়েই সেই ব্লেমগেম। নিজেরা আগুন লাগিয়ে বিরোধী দলের ওপরে দোষ চাপানো হচ্ছে।’

পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে দলটির ৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি করেন রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মুনির হোসেন ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।