তিনজনকে হত্যা, পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত। আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুরনাহার বেগম শিউলি এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন—লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে আবদুর রহমান (২৫), ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. শহিদুল্লাহ প্রকাশ সহিদ (২৭), আবদুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), মো. সেলিমের ছেলে মো. রাসেল (৩০) ও মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে মো. স্বপন (৩০)। এই ৫ আসামিই পলাতক আছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং বাজারে দোকান বন্ধ করে ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ (২৭), পরীক্ষিত দেবনাথ (১২) ও পান ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া (৩৫) ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১২টার দিকে লাকসামের শ্রীয়াং ও রাজাপুর সড়কের বদিরপুকুরে পৌঁছালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ডাকাত পরিচয় দিয়ে মাত্র এক হাজার ৪০০ টাকার জন্য সড়কের পাশে ফসলি জমিতে নিয়ে তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করে। নিহত উত্তম দেবনাথ (২৭), পরীক্ষিত দেবনাথ (১২) মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতাপপুর গ্রামের মণিন্দ্র দেবনাথের ছেলে। এ ছাড়া বাচ্চু মিয়া লাকসাম উপজেলার জগতপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।

আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই বছরের ৭ জানুয়ারি নিহত বাচ্চুর ছোট ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে লাকসাম থানা-পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে এ মামলার শুনানি হয়। বুধবার রায় দেওয়া হয়।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. আবু তাহের এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নাঈমা সুলতানা মুন্নি। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদী কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সাজা কার্যকর করতে হবে। এর মাধ্যমে আইনের শাসন নিশ্চিত হলো। সব ধরনের সমঝোতা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ও হুমকি সহ্য করে এ রায় পেয়েছি।’